সিগারেটটা ধরিয়েই হাসি পেল সিদ্ধার্থর।শ্রীতমা কত চেষ্টাইনা করেছিল সিগারেটটা ছাড়ানোর।কত রাগ করতো,ফোন তুলতোনা,চুমু খেতে গিয়ে সিদ্ধার্থ থাপ্পড় কম খেয়েছে!বাব্বাহ!!অথচ,ব্রেক আপের এতদিন পরে এসেও সিগারেট ধরালে সিদ্ধার্থর বারবার ওর কথাই মনে পড়ে।
অনেক পাল্টে গিয়েছে সিদ্ধার্থ।অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে।তাও মাঝে মাঝেই পুরোনোদিন গুলো ভিড় করে এসে ওলট-পালট করে দিয়ে যায় ওকে।
না।আজ ওর ময়দানের সেই বিকেলগুলোর কথা মনে পড়ছেনা,কাল সন্ধ্যেয় হবু বরের সাথে শ্রীতমা শপিংয়ের যে ছবিগুলো এফবি-তে দিয়েছে আশ্চর্যরকমভাবে সেগুলোর কথাও মনে করতে ইচ্ছে করছেনা ওর।
আজ মনে পড়ছে ইউনিভারসিটির সেই দিনটা।দোলের আগে শেষক্লাস ছিল সেদিন।ইউনিভারসিটি পৌছে সিদ্ধার্থ শুনেছিল ক্লাস হবেনা।ক্লাসের দিকে যেতে গিয়ে দেখেছিল লনে সবাই আবীর খেলছে।একটু খুঁজতেই শ্রীতমাকে পেয়ে গেছিল ও।ততক্ষণে ওর সাদা কুর্তি আর সাদা ছিলনা।ওর সারা মুখের মত,ওটাতেও ছিল বাহারী আবীরের রঙ।
সৃজা,অত্রিদের ভিড়ে গিয়ে শ্রীতমাকে "একটু শোননা।দরকার আছে।" বলে ও নিয়ে গেছিল একটা ফাঁকা ক্লাসরুমে।রুমাল দিয়ে ওর মুখটা মুছে দিয়ে ব্যাগ থেকে আবীর বের করে বলেছিল "তোর জন্যে যে আমি আবীর এনেছি শ্রী,মাখবিনা?" জবাবে সিদ্ধার্থকে জড়িয়ে ধরেছিল শ্রীতমা।সেই বন্ধ ক্লাসটায় ওরা দুজন দুজনকে ভালবেসে আবীর মাখিয়েছিল অনেকক্ষণ ধরে।ঠোঁটে ঠোঁট রেখে সিদ্ধার্থ বলেছিল "আমায় সারাজীবন এভাবে তোকে সাজাতে দিবিতো,শ্রী?" শ্রীতমা হেসে বলেছিল "অন্য কাউকে সাজাতে গিয়ে দেখ না কি করি তোর!"
তারপর হাতে হাত দিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়েছিল ওরা।
সিদ্ধার্থ জানে আজ শ্রীতমা অন্যকারও,সিদ্ধার্থ আজও ভোলেনি এই শ্রীতমাই তিনমাস সময় নিয়েছিল ব্রেক-আপের পর নতুন সম্পর্কে যেতে,অথচ অন্যদিকে ও আজও পারেনি অন্য কোনো মেয়েকে ভালবাসতে।তবু আজ সিদ্ধার্থর মনে একটা প্রশ্নই আসছে বারবার, "শ্রী... ওটাকি তোরও জীবনের সেরা রঙখেলা ছিল?"
অনেক পাল্টে গিয়েছে সিদ্ধার্থ।অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে।তাও মাঝে মাঝেই পুরোনোদিন গুলো ভিড় করে এসে ওলট-পালট করে দিয়ে যায় ওকে।
না।আজ ওর ময়দানের সেই বিকেলগুলোর কথা মনে পড়ছেনা,কাল সন্ধ্যেয় হবু বরের সাথে শ্রীতমা শপিংয়ের যে ছবিগুলো এফবি-তে দিয়েছে আশ্চর্যরকমভাবে সেগুলোর কথাও মনে করতে ইচ্ছে করছেনা ওর।
আজ মনে পড়ছে ইউনিভারসিটির সেই দিনটা।দোলের আগে শেষক্লাস ছিল সেদিন।ইউনিভারসিটি পৌছে সিদ্ধার্থ শুনেছিল ক্লাস হবেনা।ক্লাসের দিকে যেতে গিয়ে দেখেছিল লনে সবাই আবীর খেলছে।একটু খুঁজতেই শ্রীতমাকে পেয়ে গেছিল ও।ততক্ষণে ওর সাদা কুর্তি আর সাদা ছিলনা।ওর সারা মুখের মত,ওটাতেও ছিল বাহারী আবীরের রঙ।
সৃজা,অত্রিদের ভিড়ে গিয়ে শ্রীতমাকে "একটু শোননা।দরকার আছে।" বলে ও নিয়ে গেছিল একটা ফাঁকা ক্লাসরুমে।রুমাল দিয়ে ওর মুখটা মুছে দিয়ে ব্যাগ থেকে আবীর বের করে বলেছিল "তোর জন্যে যে আমি আবীর এনেছি শ্রী,মাখবিনা?" জবাবে সিদ্ধার্থকে জড়িয়ে ধরেছিল শ্রীতমা।সেই বন্ধ ক্লাসটায় ওরা দুজন দুজনকে ভালবেসে আবীর মাখিয়েছিল অনেকক্ষণ ধরে।ঠোঁটে ঠোঁট রেখে সিদ্ধার্থ বলেছিল "আমায় সারাজীবন এভাবে তোকে সাজাতে দিবিতো,শ্রী?" শ্রীতমা হেসে বলেছিল "অন্য কাউকে সাজাতে গিয়ে দেখ না কি করি তোর!"
তারপর হাতে হাত দিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়েছিল ওরা।
সিদ্ধার্থ জানে আজ শ্রীতমা অন্যকারও,সিদ্ধার্থ আজও ভোলেনি এই শ্রীতমাই তিনমাস সময় নিয়েছিল ব্রেক-আপের পর নতুন সম্পর্কে যেতে,অথচ অন্যদিকে ও আজও পারেনি অন্য কোনো মেয়েকে ভালবাসতে।তবু আজ সিদ্ধার্থর মনে একটা প্রশ্নই আসছে বারবার, "শ্রী... ওটাকি তোরও জীবনের সেরা রঙখেলা ছিল?"